Wellcome to National Portal

ঝিনাইদহ জেলা কারাগারের তথ্য বাতায়নে স্বাগতম।কারাগারে আটক বন্দির অসুস্থতার কথা বলে বিকাশ, রকেট, নগদ বা যে কোন ব্যাংকে অর্থ গ্রহণ করা হয় না।সরকারী নিয়ম অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করা হয়। কেউ এ ধরনের কারাগারের পরিচয় দিয়ে অর্থ চাইলে আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীকে বা অত্র দপ্তরে যোগাযোগ করার জন্য বলা যাচ্ছে।

Main Comtent Skiped

Achievements

ঝিনাইদহ জেলা কারাগারের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বন্দি মৃণালকে তার মামার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। মৃণাল দীর্ঘ ৯মাস যাবৎ ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে আটক ছিলেন। তিনি পুলিশ কর্তৃক একটি জিডি মামলায় কারাগারে আটক ছিলেন। তার কথা বোঝা যেত না। তিনি কোন দেশের নাগরিক এবং তার ঠিকানা কি তা জানা না থাকায় অজ্ঞাত ঠিকানার বন্দি হিসাবে কারাগারে অবস্থান করছিলেন। কেউ তার ভারতীয় নাগরিক কেউবা তাকে রোহিংগা বা মায়ানমারের নাগরিক মনে করতেন।  তার জামিনের জন্য কোন আবেদন না পাওয়ায় এবং কোন স্থানীয় জিম্মাদার না থাকায় বিজ্ঞ আদালতে তার জিডি নিস্পত্তি করা সম্ভব ছিল না। বিজ্ঞ আদালত বিষয়টিকে নানাভাবে সুরাহা করার পদক্ষেপ গ্রহন করলে বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিষ্ট্রট, জেল সুপার এবং বিজ্ঞ আদালতসহ সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মৃণালের পরিচয় জানার চেষ্টা জোরেসোরে শুরু হয়। বিজ্ঞ বিচারক জনাব বৈজয়ন্তি মহোদয়ের ব্যাপক প্রচেষ্টায় মৃণালের পরিচয় প্রকাশের জট খুলতে শুরু করে। জেল সুপার ফেসবুকে অজ্ঞাত মৃণালের পরিচয় জানার জন্য পোষ্ট দেন। এতে সাড়া পাওয়া যায় । নীলফামারী হতে মৃণালের মামা এবং একজন শিক্ষক জেল সুপার এর সাথে যোগাযোগ করেন। বিজ্ঞ বিচারক জনাব বৈজয়ন্তি মহোদয় স্থানীয় খানা হতে ওসিকে মৃণালের মামার সহিত যোগাযোগ করিয়ে দেন এবং তাকে দ্রুত ঝিনাইদহ এসে কারাগার এবং বিজ্ঞ আদালতের সাথে যোগাযোগের নির্দেশ দেন। মৃণালের মামা কারাগারে এসে জেল সুপার এর সাথে যোগাযোগ করলে উকিল এর মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে যোগাযোগ করা হয়। বিজ্ঞ আদালত তার মামার জিম্মায় জামিন প্রদান করেন। অত:পর মৃণালকে তার মামার নিকট হস্তান্তর করা হয়।