Wellcome to National Portal

ঝিনাইদহ জেলা কারাগারের তথ্য বাতায়নে স্বাগতম।কারাগারে আটক বন্দির অসুস্থতার কথা বলে বিকাশ, রকেট, নগদ বা যে কোন ব্যাংকে অর্থ গ্রহণ করা হয় না।সরকারী নিয়ম অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করা হয়। কেউ এ ধরনের কারাগারের পরিচয় দিয়ে অর্থ চাইলে আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীকে বা অত্র দপ্তরে যোগাযোগ করার জন্য বলা যাচ্ছে।

মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
অবশেষে বাক প্রতিবন্ধী এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের বন্দি মৃণাল তার ঠিকানা খুঁজে পেলেন
ছবি
ডাউনলোড

 

মৃণাল একজন বাকপ্রতিবন্ধী বন্দি। তিনি গত ১৪/১১/২০১৯ খ্রি: হতে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে অবস্থান করেছেন। প্রতিবন্ধী বিধায় তিনি কথা বলতে পারেন না। তবে বোবাদের মত আউ আউ করতেন। তার কথা কোন বন্দি কিংবা কারা কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ কেউ বুঝতে পারতেন না। কেউ কেউ তাকে মায়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক, কেউ তাকে ভারতীয় বন্দি, কেউ ভবঘুরে, কেউ বা তাকে অভিভাবকহীন ঘরবাড়ীবিহীন ভাসমান মানুষ হিসাবে মনে করতেন। তাকে অজ্ঞাত বন্দি হিসাবে অন্তর্বর্তীকালীন হাজতের পরোয়ানায় উল্লেখ করা হয়েছিল বিধায় তার পরিচয় জানা ছিল না কারাগার কর্তৃপক্ষের। কারাগার কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন উপায় যেমন সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহযোগীতায় স্থানীয় জেলার ফেসবুক পেজ এ , স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদপত্রে সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে তার পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা করেছিলেন কিন্ত কোনভাবেই তার পরিচয় পাওয়া যায়নি এবং কোন সাড়া পাওয়া যায় নি। দীর্ঘমেয়াদী মামলা হিসাবে বিজ্ঞ আদালতের দৃষ্টিগোচর হলে বিজ্ঞ অতিরিক্ত দায়রা জজ মহোদয় তার পরিচয় উদ্ধারের জন্য ব্যাপক তথ্য অনুসন্ধান করেন এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রচেষ্টা উদ্ধারের নির্দেশ প্রদান করা হলে জেল সুপার জনাব মো: আনোয়ার হোসেন তার ফেসবুক পেজ এ মৃণাল এর পরিচয় অনুসন্ধানের জন্য শেয়ার দিলে নীলফামারী হতে েএকজন শিক্ষক এতে রেসপন্স করেন এবং তার পরিচয় জেল সুপারের নিকট জানিয়ে দেন। মৃণালের মামার মোবাইল নম্বর ও ঠিকানা দেন। জেল সুপার মৃণালের মামার সাথে যোগাযোগ করেন এবং বিষয়টি বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা  ও দায়রা জজ জনাব মো: বৈজয়ন্তি মহোদয়কে অবহিত করলে বিজ্ঞ বিচারক মহোদয় নীলফামারীস্থ সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে তাড়াতাড়ি মৃণালের মামাকে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে প্রেরণের ও কারা কর্তৃপক্ষের সহিত যোগাযোগের জন্য নির্দেশ দেন। ফলে মৃণালের মামা ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে উপস্থিত হন। কারা কর্তৃপক্ষ তাদেরকে মৃণাল এর সহিত সাক্ষাৎ করিয়ে দেন। মৃণাল তার মামাকে চিনতে পারেন। মৃণাল এর মামা ও মৃণালকে চিনতে পারেন। কারাগার কর্তৃপক্ষ স্থানীয় উকিল নিযুক্ত করে বিজ্ঞ আদালতে জামিনের প্রার্থণা জানালে বিজ্ঞ আদালত তাকে দ্রুত তার মামার জিম্মায় দ্রুত জামিন মনজুর করেন। কারাগার কর্তৃপক্ষ মৃণালকে তার মামার নিকট হস্তান্তর করেন  এবং তাদেরকে নীলফামারীতে পেরণের করেন। আর এভাবেই অজ্ঞাত মৃণাল তার ঠিকানা খুঁজে পেলেন। মৃণাল এর মামা বলেন আট বৎসর পূর্বে মৃণাল বাড়ী থেকে নিখোঁজ হন। দীর্ঘদিন যাবৎ তারাও মৃণাল এর কোন খোঁজ পান নাই । অনেকেই তাকে মৃত মনে করতেন। মৃণালের মামা একজন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। মৃণাল এর নামে ৮ বিঘা জমি রয়েছে। 

 

 At last speech impaired ‍and disable prisoner Mrinal has handed over his relatives from jhenaidah jail.